বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা

বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা জেনে নিন: Thursday Vrat katha bengali

 

বহুদিন আগে ভারতবর্ষে একজন রাজা রাজত্ব করতেন। রাজা যেমন পরাক্রমী ছিলেন তেমনি ছিলেন দানী। দেব-দ্বিজে তাঁর খুবই ভক্তি ছিল। পরের দুঃখে সদাই তাঁর প্রাণ কাঁদতো। কোনও প্রার্থী তাঁর কাছ থেকে বিমুখ হয়ে ফিরে যেতেন না। রোজ তিনি মন্দিরে গিয়ে দেব দর্শন করতেন। প্রজাদের নিজের সন্তানের মতোই ভালবাসতেন। তাঁর দরজা থেকে কোনও প্রার্থী বিমুখ হয়ে ফিরে যেতো না।

এই রাজা প্রতি বৃহস্পতিবারে দেবগুরু (Devguru Brihaspati) বৃহস্পতির ব্রত (Thursday Vrat) করতেন। ষোড়শোপচারেই বৃহস্পতির পূজা করতেন। ব্রাহ্মণ, গুরু ও অতিথিকে তৃপ্তি সহকারে ভোজন করাতেন। এ ছাড়া প্রতিদিন তিনি গরীব-দুঃখীদের। সেবা করতেন।

কিন্তু রানী ছিল এর সম্পূর্ণ বিপরীত, এই সব বার-ব্রত, দান-ধ্যান তার ভালো লাগতো না। মনে মনে সে বিরক্ত হতো। কিন্তু রাজাকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারতো না, রাগে গজগজ করতো। রানী কোনদিন কোনও ব্রতও করতো না আর কাউকে একটা কানা কড়িও দান করতো না। উপরন্তু রাজাকে এই সব ব্রত আর দান করতে নিষেধ করতো।

এইভাবেই কিছুদিন কেটে যায়। হঠাৎ রাজা সৈন্য-সামন্ত নিয়ে মৃগয়া করতে গেলেন। প্রাসাদে রইলো রানী আর দাস-দাসীরা। তাদের মধ্যে একটি দাসী রানীর খুবই প্রিয় ছিল। রাজা শিকারে যাবার ফলে দান-ধ্যান, দেবসেবা, ব্রাহ্মণ অতিথি সেবা সব বন্ধ হয়ে গেল।

এমন সময় একদিন স্বয়ং দেবগুরু বৃহস্পতি ( Devguru Brihaspati) সাধুর ছদ্মবেশে রানীকে পরীক্ষার জন্য প্রাসাদ দ্বারে এসে উপস্থিত হলেন। ছদ্মবেশী দেবগুরু প্রাসাদ দ্বারে এসে ভিক্ষা চাইলেন। দাসীটা গিয়ে রানীকে সেই কথা জানালো। দাসীর কথা শুনে রানী তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলো, তার সামনে একজন সাধু দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে রানীর গা জ্বলে গেল। রানী বললেন- হে সাধু মহারাজ! এই দান আর পুণ্যের ওপর আমার ঘৃণা এসে গেছে।

আমি অন্তঃপুরের কাজই শেষ করতে পারিনি, আর দান-ধ্যান করতে করতে আমার স্বামী এতই ব্যস্ত থাকেন যে, আমার সঙ্গে বসে দু’ঘন্টা কথা বলারও সময় হয় না। সব সময় একজন না একজন প্রার্থী এসে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে।

ছদ্মবেশী সাধু বললেন— এটা খুবই আনন্দের কথা রানী মা। রাজা তো মহাপুণ্যের কাজ করছেন। সহধর্মিণী হিসাবে তুমিও তো এই পুণ্যের অংশ পাবে।

সাধুর কথা শুনে রানী বললে না, না, আমার পুণ্যের দরকার নেই। আপনি কি আমার একটা উপকার করতে পারবেন?

সাধু বললেন – বলুন, কি চাই আপনার?

রানী বললেন—আপনি আমার উপর কৃপা করে এমন ব্যবস্থা করে দিন, যাতে এই ধন ঐশ্বর্য সব নষ্ট হয়ে যায়, আর আমি আরামে থাকতে পারি।

রানীর কথা শুনে সাধু আশ্চর্য হয়ে বললেন – হে দেবী! আপনি তো বিচিত্র মানুষ দেখছি। ধনৈশ্বর্য এবং সন্তানের জন্য কেউ কি দুঃখী হয়? সবাই তো ধনৈশ্বর্য আর সন্তান কামনা করে। যে ব্যক্তি মহাপাপী, সেও ধন-পুত্র পাবার ইচ্ছা করে থাকে। তাছাড়া যদি আপনার কাছে ধনৈশ্বর্য বেশী থাকে, তাহলে ক্ষুধার্ত মানুষদের তৃপ্তি সহকারে ভোজন করান।

বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা জেনে নিন: Thursday Vrat katha bengali

বস্ত্রহীনকে বস্ত্র, ক্ষুধার্তকে অন্ন, নির্ধনকে ধন দান করুন। ধর্মশালা তৈরী করে দিন। পুকুর, পুষ্করিণী, সরোবর, কুয়া, বাগান নির্মান করে। দিন। গরীবলোকের অবিবাহিত কন্যার বিবাহ দিন এবং নানা প্রকার যাগ-যজ্ঞাদি করান। এই সব কাজের ফলে আপনার বংশ উজ্জ্বল হবে এবং পরলোকে স্বর্গলাভ করবেন।

রানী কিন্তু সাধুর কথায় খুশী হলো না। সে বললে– সন্ন্যাসী ঠাকুর! আমার এই রকম অর্থের প্রয়োজন নেই। কারণ যে ধনৈশ্বর্য মানুষকে দান করতে হবে, আমাকে শুধু নাড়াচাড়া করতে হবে আর রক্ষা করতে হবে, সে রকম অর্থে কি প্রয়োজন ?

সন্ন্যাসী বললেন –মহারানী। আপনার যদি প্রকৃতই সেই ইচ্ছা হয়, তাহলে তাই হবে। আমি বলে যাচ্ছি আপনাকে যে সব কথাগুলো বললাম, সেগুলো করবেন। তাহলেই আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে।

সাধুর কথা শুনে রানী আনন্দিত হয়ে বললে –বলুন সন্ন্যাসী। মহারাজ! কি করলে আমার ধনৈশ্বর্য নষ্ট হয়ে যাবে? সন্ন্যাসী বললেন — মহারানী! বৃহস্পতিবারে ঘরে গোবর লিপ্ত করবেন। মাথায় উকুনাদি পরিষ্কার করবেন। মাথা ঘষবেন। ঠিক সময়ে স্নান না করে বাসি কাপড়ে থাকবেন।

রাজাকে ক্ষৌরকার্য করতে বলবেন। মাছ, মাংস, মাদক দ্রব্য আহার করবেন, ধোপাকে কাপড় কাচতে দেবেন। এইভাবে সাত বৃহস্পতিবার করলেই আপনার সমস্ত ধনৈশ্বর্য নষ্ট হয়ে যাবে। এই কথা বলে ছদ্মবেশী বৃহস্পতিদের প্রাসাদ দ্বার থেকে অন্তর্ধান হয়ে গেলেন।

এদিকে রানী সাধুর কথামতো বৃহস্পতিবারে সব নিষিদ্ধ কাজগুলি করতে শুরু করে দিল। সাত বৃহস্পতিবারও অপেক্ষা করতে হলো না, তিন বৃহস্পতিবারের মধ্যেই রাজার ধনৈশ্বর্য সব নষ্ট হয়ে গেল।

অবশেষে এমন অবস্থা হলো যে, রাজা রানীর আহার জোটে না। কোনদিন উপবাসে থাকতে হয়, আবার কোনদিন আধপেটা খেয়ে থাকতে হয়। ক্ষুধার জ্বালায় রাজা রানী খুব কাতর হয়ে পড়লো। সাংসারিক ভোগে দুঃখিত হয়ে রাজা একদিন রানীকে বললেন মহারানী! তুমি এখানে থাকো। আমি বরং অন্য দেশে যাই।

কারণ, এখানে তো সবাই আমাকে চেনে, সেজন্য এখানে কোনও কাজ-কর্ম করতে পারবো না। এখানে থাকলে কারও কাছে ভিক্ষা করেও খেতে পারবো না। অনাহারে মরতে হবে। তার চেয়ে তুমি এখানে থাকো, আমি অন্য দেশে যাচ্ছি। এই বলে রাজা চলে গেলেন।

 

রাজ্য ছেড়ে রাজা চলে গেলেন বহু দূরে। সেখানে কাঠুরেদের সঙ্গে জঙ্গলে কাঠ কেটে নিয়ে আসতে লাগলেন আর শহরে বিক্রী করে যা পেতেন, তাই দিয়ে কোনক্রমে জীবন কাটাতে লাগলেন।

এদিকে রানী অন্তঃপুরে দুঃখের জ্বালায় জ্বলতে লাগলো। সব দাস-দাসীরা অন্তঃপুর ছেড়ে চলে গেল। শুধুমাত্র রানীর প্রিয় দাসীটি রইলো রানীর কাছে। রানী যেদিন কিছু যোগাড় করতে পারতো, সেদিন | দুজনে ভাগ করে খেতো, আর যেদিন কিছু পেতো না, সেদিন উপবাস থাকতো। কোনদিন আবার শুধু জল খেয়েই তাদের দিন কাটতে লাগলো।

অবশেষে এমন অবস্থা হলো যে, রানী আর দাসীর সাতদিন শুধু জল ছাড়া আর কিছু জুটলো না। ক্ষুদার জ্বালায় তারা ছট্‌ফট্ করতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত রানী ক্ষুদার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে দাসীকে বললে — পাশের শহরে আমার বোন থাকে। সে বেশ ধনবতী, তার প্রচুর | ধনৈশ্বর্য আছে। তুই তার কাছে যা। আর তার কাছ থেকে কিছু চাল ডাল চেয়ে নিয়ে আয়। তাতে কিছুদিন অন্ততঃ চলবে।

রানীর আদেশ পেয়ে দাসী গেল রানীর বোনের কাছে। রানীর বোন সেই সময় বৃহস্পতিবার ব্রতপূজা (Thursday Vrat) করছিল। কারণ সে দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। দাসী তার কাছে কিছু চাল ডাল চাইলো। রানীর বোন কিন্তু কোনও উত্তর দিল না। দাসী বার বার তাকে চাইতে লাগলো, কিন্তু রানীর বোন কোনও উত্তর দিল না। কারণ সে তখন বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা (Thursday Vrat Katha) শুনছিল একমনে।

রানীর বোন কোনও উত্তর দিল না দেখে, দাসী অত্যন্ত দুঃখিত হয়ে গেল। সে রাগ করে ফিরে এলো রানীর কাছে। রানীর কাছে এসে দাসী বললে রানী মা। আপনার বোন খুবই অহংকারী। সে আমাদের মতো গরীব মানুষের সঙ্গে কথাও বলে না। আমি তাকে বার বার কিছু চাল-ডাল চাইলাম, কিন্তু সে কোনও উত্তরই দিলে না, তাই আমি রাগ করে চলে এসেছি।

দাসীর কথা শুনে রানী বললে- দাসী! এতে তার কোন দোষ নেই। যখন মানুষের দুঃখের সময় আসে, তখন কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। ভালো এবং মন্দ সময়ের কথা বাতাসে রটে যায়। ভগবানের যা ইচ্ছা, তাই হবে। এ সবই আমার ভাগ্যের দোষ।

Ganesh Morning mantra
Ganesh Morning mantra
বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা জেনে নিন: Thursday Vrat katha bengali

দাসীর সঙ্গে রানী কথা বলছে, এমন সময় তারা দেখলো, রানীর বোনের দাসী আসছে। তার পিছনেই আসতে তার বোন। রানীর বোন | বললে ভগ্নী ! দুঃখ করো না। তোমার দাসী যখন আমার কাছে গেছলো, তখন আমি ব্রত করছিলাম, সেজন্য কথা বলতে পারিন। তারপর রানীর বোন রানীকে বললে – ভগ্নী! তোমার দাসী কিজন্য আমার কাছে গেছলো?

রানী বললে—বোন! আমার কাছে চাল-ডাল ছিল না। সেজন্য আমি কিছু চাল-ডালের জন্য দাসীকে তোমার কাছে পাঠিয়েছিলাম। আমি এখন খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।

এই কথা শুনে রানীর বোন বললে—ভগ্নী! বৃহস্পতিদেব (Brihaspati Dev) সকলের মনোস্কামনা পূর্ণ করেন। যাও দেখ গিয়ে, নিশ্চয় তোমার ঘরে চাল-ডাল, | তরিতরকারি আছে। বোনের কথা শুনে রানী ঘরে গিয়ে দেখে, সত্যিই ঘরে চাল, ডাল, আনাজ-তরকারি ভর্তি আছে। তাই দেখে রানী আর দাসী তো খুব খুশী। দাসী বললে—রানীমা! যদি এই রকম পাওয়া যায়, তাহলে আমি রোজই ব্রত করতে রাজী আছি। আপনি এই ব্রতের নিয়ম জেনে নিন। তাহলে আমিও এই ব্রত করবো।

Maa Kali Puja Paddhati in Bengali
Maa Kali Puja Paddhati in Bengali
Thursday Vrat katha

দাসীর কথা শুনে রানী বোনকে বললে—ভগ্নী। এই ব্রতের কি কি নিয়ম আমাকে বলো। আর কিভাবে ব্রত করতে হয় বলো। রানীর বোন বললে এই ব্রতে ছোলার ডাল, মনাক্কা, ইত্যাদি দিয়ে কলাগাছের গোড়ায় বৃহস্পতিদেবের এবং শ্রীবিষ্ণুর পূজা করতে হয়। প্রদীপ জ্বালাতে হয়। পীতবর্ণের খাদ্য আহার করবে। তারপর ব্রতকথা শুনে প্রসাদ গ্রহণ করবে। এইভাবে ব্রত করলেই দেবগুরু বৃহস্পতি প্রসন্ন হবেন। তিনি ব্রতকারীর সকল মনোবাসনা পূর্ণ করেন। পুত্র-কন্যা এবং ধনৈশ্বর্যে গৃহ পূর্ণ করেন।

বোনের কথা শুনে রানী আর দাসী এই ব্রত করবার ইচ্ছা করলে | আর প্রতি বৃহস্পতিবারে ভক্তি সহকারে ব্রত করতে লাগলো। যথা নিয়মে তারা ছোলার ডাল দিয়ে কলাগাছের গোড়ায় শ্রীবিষ্ণুর পূজা করতে লাগলো।

তাদের ব্রতের ফলে ভগবান বৃহস্পতিদের প্রসন্ন হয়ে দুটি থাlলায় নানারকম খাদ্য সাজিয়ে ছদ্মবেশে এসে দাসীর হাতে দিয়ে বললেন— দাসী, এই নাও তোমার আর রানীর খাদ্য। তোমরা এই খাদ্য আহার কর।

রানী অবাক হয়ে বললে—দাসী! এই খাদ্য তোকে কে দিয়েছে? | দাসী বললে — একজন সন্ন্যাসী এই খাদ্য দিয়ে গেছেন। রানী বললে- তোকে দিয়ে গেছে, তুই খা। দাসী বললে রানী মা! সেই সন্ন্যাসী আমাদের দু’জনকেই খেতে দিয়ে গেছেন। সেজন্য আপনি আর আমি দুজনেই এই খাদ্য আহার করবো। তখন রানী আর দাসী ভগবানকে নমস্কার করে আহার করলে, আর প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে বিষ্ণুপূজা আর বৃহস্পতিবারের ব্রত করতে লাগলো।

কিছুদিন এই ব্রত করার ফলে দেবগুরু বৃহস্পতি প্রসন্ন হলেন। তাদের প্রচুর ধনৈশ্বর্য হলো। অর্থ পেয়ে রানী আবার ব্রতে অবহেলা করতে লাগলো। তাই দেখে দাসী বললে – দেখুন রানী মা। আপনি আগে অবজ্ঞা

করেছিলেন বলেই আপনার দুঃখের সীমা ছিল না। আবার ব্রত করার ফলেই আজ আপনি ধনৈশ্বর্য লাভ করেছেন। অনেক কষ্টের পর আবার আপনি বৃহস্পতি দেবের কৃপা লাভ করেছেন। তাই বলছি, ভক্তিভরে ব্রত করুন।

দাসীর কথা শুনে রানী আবার ভক্তিভরে ব্রত করতে লাগলো, গরীব-দুঃখীদের দান-ধ্যান করতে লাগলো। তার ফলে একদিকে যেমন রানীর ধনৈশ্বর্য বাড়তে লাগলো, অপর দিকে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লো।

একদিন রানী রাজার কথা চিন্তা করতে করতে মনে মনে বললেন—হে বৃহস্পতিদেব! রাজাকে তুমি ফিরিয়ে এনে দাও। রানীর প্রার্থনা ভগবান শুনলেন। তিনি রাত্রে রাজাকে স্বপ্ন দিয়ে বললেন –রাজা, তোমার রানী তোমার জন্য দুঃখ পাচ্ছে। তুমি নিজ রাজ্যে ফিরে যাও। রাজা স্বপ্ন দেখে তার পরদিনই নিজের রাজ্যের উদ্দেশ্যে চললেন।

-এর আগে একদিন রাজা জঙ্গলে কাঠ কাটতে কাটতে শ্রান্ত হয়ে বসে গালে হাত দিয়ে চিন্তা করছিলেন। এমন সময় বৃহস্পতিদেব ছদ্মবেশে | এসে তাকে বলেছিলেন—রাজা তুমি এত দুঃখ করছো কেন, শীঘ্রই তুমি রাজ্যে ফিরে যাবে। কাজেই স্বপ্ন দেখে রাজা আর স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি রাজ্যে ফিরে গেলেন।

Janmashtami Brotokotha Sanskrit in Bengali
Janmashtami Brotokotha Sanskrit in Bengali
Thursday Vrat katha

রাজ্যে ফিরে এসে রাজা দেখলেন, তার রাজ্যে আবার শান্তি ফিরে এসেছে। দুঃখ-দুর্দশার শেষ হয়েছে। বহুদিন পরে রাজাকে দেখে রানী খুব খুশী হলেন। রাজাও খুশী হলেন। রানী তখন সব কথা রাজাকে বললে, রাজা সব কথা শুনে খুব খুশী হলেন আর রানীকে নিয়ে ভক্তিভরে বৃহস্পতিবার ব্রত (Thursday Vrat katha) করতে লাগলেন। বৃহস্পতিদেবের কৃপায় রাজা আবার আগের মতোই আনন্দিত হয়ে রাজ্য শাসন করতে লাগলেন ।

—ইতি বৃহস্পতিবার ব্রতকথা সমাপ্ত—

আরও পড়ুন – এই সব ফুল দিয়ে শিবের পূজা করতে হয়

ভারত শাস্ত্র এর সমস্ত আপডেট এখন টেলিগ্রামে পেয়ে যাবেন। এখনি যুক্ত হন আমাদের টেলিগ্রাম চ্য়ানেলে । টেলিগ্রামে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন (Join Telegram)

Leave a Comment