নাগ পঞ্চমী | Nagpanchami
আষাঢ়ী পূর্ণিমা যা তু তৎপরং নাগপঞ্চমী। গৌণশ্রাবণকৃষ্ণা চ পঞ্চমী নাগপঞ্চমী ৷৷ ইয়ঞ্চ চতুর্থীযুতা গ্রাহ্যা যুগ্মাৎ। উভয়দিনে পূৰ্ব্বাহ্নে মুহূৰ্ত্তান্যূন পঞ্চমীলাভে পূৰ্ব্বদিনে পুজা যুগ্মাৎ।
আষাঢ়ী পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী, তাহাকে নাগপঞ্চমী, তাহাকে নাগপঞ্চমী বলে। শাস্ত্রকারেরা গৌণশ্রাবণের কৃষ্ণা পঞ্চমীকে নাগপঞ্চমী বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন।
ঐ পঞ্চমী উভয়দিনে পূৰ্ব্বাহ্নে পূজার যোগ্য প্রশস্তকাল প্রাপ্ত হউক বা না হউক, পূৰ্ব্বদিনে চতুর্থীযুক্তা যে পঞ্চমী, তাহাতেই পূজাদি করিতে হইবে।
সুপ্তে জনাৰ্দ্দনে কৃষ্ণে পঞ্চম্যাং ভবনাঙ্গনে। পূজয়েন্মনসাদেবীং সুহীবিটপসংস্থিতাম্॥ দেবীপুরাণে।
জনাৰ্দ্দন অর্থাৎ জগন্নাথ শয়ন করিলে তাহার পর কৃষ্ণ পক্ষের যে পঞ্চমী তিথি, সেই তিথিই হল নাগপঞ্চমী। ঐ পঞ্চমীতে গৃহাঙ্গনে (উঠানে) সীজবৃক্ষ স্থাপন করিয়া, তাহাতে মনসাদেবীর পূজা করিতে হয়।
ইহাতে অষ্টনাগেরও করা পূজা কৰ্ত্তব্য। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণাপঞ্চমী তিথি পর্য্যন্ত পূজা করা উচিত, এই পূজা করিলে নাগ বা সর্প ভয় থাকে না।
আরও পড়ুন – নবনাগ স্তোত্রম
ভারতশাস্ত্র এর সমস্ত আপডেট এখন GNews, Facebook এবং Telegram – পেয়ে যাবেন। Google Play Store এও আমাদের উপলব্ধ রয়েছে Bharatsastra App