গীতা সম্বন্ধীয় প্রশ্নোত্তর | Questions and Answers on Gita Part 2
শ্রীমদ ভাগবত গীতা (Shrimad Bhagawat Gita) হল ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মুখ নিসৃতঃ বাণী। মহাভারতের (Mahabharat) ভীষ্ম পর্বের (Bhishma Parva) অন্তর্গত ১৮তম অধ্যায়ে গৃহীত।
আমরা এই গীতা সম্বনধিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর (Questions and Answers on Gita) নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এই প্রশ্ন উত্তর দুটি পর্বের মধ্যে প্রথম পর্বে আমরা জেনেছি গীতা বর্ণাশ্রম-ধর্ম মান্য করে কি না? যদি মান্য করে তবে কি প্রকারে?
গীতা বেদকে স্বীকার করে কি না? যদি স্বীকার করে থাকে তবে তার দৃষ্টিকোন কি? দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৪২, ৪৫, ৪৬ এবং ৫৩ তম শ্লোকসংখ্যায় বেদ সম্বন্ধে নীচু মনোভাবের তাৎপর্য কি?
কর্ম” এবং “জ্ঞান” এই দুইয়ের মধ্যে গীতা কোনটি স্বীকার করে? কিংবা দুটি-ই স্বীকার করে? যদি শুধু কর্ম স্বীকার করে তবে জ্ঞান নিষ্ফল হয় এবং যদি জ্ঞান স্বীকার করে তবে কর্ম নিষ্ফল হয়ে যায়; যদি জ্ঞান লক্ষ্যবস্তু হয় তবে কর্মের উপরে আগ্রহ কেন? ইত্যাদি এইসব প্রশ্নের উত্তর সম্বন্ধে আগে জেনেছি।
এই সব প্রশ্ন আপনার আগের পর্ব অর্থাৎ প্রথম পর্বে জানতে পারবেন। আজ দ্বিতীয় পর্ব (Questions and Answers on Gita Part 2)। জনৈক ভদ্রলোক প্রশ্ন করেছেন যে-
প্রশ্নঃ- গীতা মুর্তি পুজা স্বীকার করে কি না? যদি স্বীকার না করে তবে নবম অধ্যায়ের ২৬ নং শ্লোকের অর্থ কি? যদি স্বীকার করে তবে তাঁর স্বরূপ কি, সাকার না নিরাকার?
উত্তরঃ- গীতা মূর্তি-পূজা স্বীকার করে, ৯ অধ্যায়ের ২৬ এবং ৩৪ শ্লোক-সংখ্যা দ্বারা ইহা প্রমাণিত হয়েছে। স্বরূপ সম্বন্ধে গীতা সাকার- নিরাকার উভয় স্বরূপকে মান্য করে। উদাহরণ রূপে কিছু শ্লোকর উদ্ধৃিতি করা হচ্ছে-
অজোহপি সন্নব্যয়াত্মা ভূতানামীম্বরোহপি সন্ । প্রকৃতিং স্বামাধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মায়য়া। যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্। পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে জন্ম কর্ম চ মে দিব্যমেবং যো বেত্তি যুগে। তত্ত্বতঃ । ত্যজ্যা দেহং পুনর্জন্ম নৈতি মামেতি সোহর্জুন। (গীতা ৪/৬-৯)
Questions and Answers on Gita Part 2
অবজানন্তি মাং মূঢ়া মানুষীং তনুমাশ্রিতম্। পরং ভাবমজানন্তো মম ভূতমহেশ্বরম্ । পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্তা প্রয়চ্ছতি। তদহং ভক্ত্যপহৃতমশ্বামি প্রয়তাত্মনঃ । মম্মমা ভৰ মদ্ভক্তো মদ্যার্জী মাং নমস্কুরু। মামেবৈশ্যসি যুক্তৈবমাত্মানং মৎপরায়ণঃ। (গীতা ৯/১১, ২৬, ৩৪)
ভগবান বলেছেন “আমি অবিনাশী স্বরূপ অজন্মা হয়েও এবং সর্বভূতের ঈশ্বর হয়েও স্বীয় (নিজের) প্রকৃতিকে বশীভূত করে যোগমায়া দ্বারা আবির্ভুত হই। হে ভারত। যখন যখন ধর্মের হানি এবং অধর্মের বৃদ্ধি হয় তখনই আমি নিজরূপের রচনা করি। সাধুপুরুষদের উদ্ধার করার জন্য এবং পাপকারীগণের বিনাশ করার জন্য তথা ধর্ম স্থাপন করার জন্য আমি যুগে যুগে আবির্ভুত হই। হে অর্জুন! আমার সেই জন্ম এবং কর্ম দিব্য অর্থাৎ অলৌকিক, এই প্রকার যে ব্যক্তি তত্ত্বতঃ জানে সে শরীর ত্যাগ করে পুণরায় জন্ম প্রাপ্ত হয় না কিন্তু আমাকে প্রাপ্ত হয়।”
“সকল ভূতের মহান ঈশ্বররূপ আমার পরম ভাবকে যারা না জানে এরূপ মূঢ় লোক মনুষ্যের শরীর ধারণকারী আমাকে (পরমাত্মাকে) তুচ্ছজ্ঞান করে অর্থাৎ স্বীয় যোগমায়াতে সংসারের উদ্ধারের জন্য মনুষ্যরূপে বিচরণকারীকে সাধারণ মনুষ্য মনে করে থাকে।
পত্র, পুষ্প, ফল, জল ইত্যাদি যা কিছু যে কেউ ভক্ত আমাকে প্রেমপূর্বক অর্পণ করে, সেই শুদ্ধবুদ্ধি নিষ্কাম প্রেমী ভক্তের প্রেমপূর্বক অর্পিত সেই পত্রপুস্পাদি আমি সগুণরূপে প্রকট হয়ে প্রীতির সঙ্গে ভক্ষণ করি। তুমি আমাতেই মনযুক্তকারী হও, আমারই ভক্ত হও, আমারই পূজনকারী হও এবং বাসুদেব আমাকেই প্রণাম কর, এভাবে আমার শরণাপন্ন হয়ে আত্মাকে আমাকে এককভাবে করে আমাকেই প্রাপ্ত হবে।”
পরং ব্রহ্ম পরং ধাম পবিত্রং পরং ভবান্। পুরুষং শাশ্বতং দিব্যমাদিদেবমজং বিভূম্। আহুস্তামৃষয়ঃ সর্বে দেবর্ষির্নারদস্তথা। অসিতো দেবলো ব্যাসঃ স্বয়ং চৈব ব্রবীষি মে। কিরীটিনং গদিনং চক্রিণঞ্চ তেজোরাশিং সর্বতো দীপ্তমন্তম্ । পশ্যামি ত্বাং দুর্নিরীক্ষং সমস্তাদ্দীপ্তানলার্কদ্যুতিমপ্রমেয়ম্ । কিরীটিং গদিনং চক্রহন্তমিছাগি ত্বাং দ্রষ্টুমহং তথৈব । তনৈব রূপেন চতুর্ভুজেন সহস্রবাহো ভব বিশ্বমূর্তে । (গীতা ১০/১২-১৩, ১১/১৭,৪৬)
অর্জুন বলছেন ‘আপনি-ই পরম ব্রহ্ম, পরম ধাম, আপনি-ই পরম পবিত্র, কেননা আপনাকে সকল ঋষিগণ সনাতন দিব্য পুরুষ, দেবতাদেরও আদিদেব, অজন্মা এবং সর্বব্যাপী বলে থাকেন। সে রূপেই দেবর্ষি নারদ, অসিত, দেবলঋষি, মহর্ষি ব্যাস এবং স্বয়ং আপনিও আমাকে বলেছেন।’
আপনাকে আমি মুকুটযুক্ত, গদাযুক্ত এবং চক্রযুক্ত সকলদিকে প্রকাশমান, তেজঃপুঞ্জ, প্রজ্বলিত অগ্নি এবং সূর্য্যের ন্যায় জ্যোতিযুক্ত, দেখতে অতি গহণ এবং অপ্রেমেয় স্বরূপ সর্বদিকেই দেখিতেছি।’ ‘আমি সেইরূপ-ই আপনাকে মুকুটযুক্ত এবং হস্তে গদা ও চক্রযুক্ত দেখতে ইচ্ছা করি। অতএব হে বিশ্বরূপ! হে সহস্রবাহো! আপনি সেই চতুর্ভুজরূপ যুক্ত হোন অর্থাৎ আপনার চতুর্ভুজ রূপের দর্শন করান।’
মধ্যাবেশ্য মনো যে মাং নিত্যযুক্তা উপাসতে । শ্রদ্ধয়া পরযোগেতান্তে মে যুক্ততমা মতাঃ (গীতা ১২/২।
ভগবান বলেছেন- ‘আমাতে মন একাগ্র করে নিরন্তর আমার ভজন ও ধ্যানে মগ্ন হয়ে যে ভক্তগণ অতিশয় শ্রেষ্ট শ্রদ্ধার সহিত যুক্ত হয়ে সগুণ পরমেশ্বরূপ আমাকে ভজনা করেন তারা যোগীদিগের মধ্যেও অতি উত্তম যোগী বলে আমার মতে মান্য অর্থাৎ তাদের আমি শ্রেষ্ট বলে বিবেচনা করি।”
Questions and Answers on Gita Part 2
সঞ্জয় ধৃতরাষ্ট্রকে বলছেন – তচ্চ সংস্ম্ঋত্য সংস্ম্ঋত্য রূপমত্যদ্ভূতং হরেঃ। বিস্ময়ো মে মহান্ রাজন্ হৃষ্যামি চ পুনঃ পুনঃ। (গীতা ১৮/৭৭)
“হে রাজন! শ্রীহরির সেই অতি অদ্ভুত রূপ পুনঃপুনঃ স্মরণ করে আমার চিত্তে অতিশয় আশ্চর্য্য হচ্ছে এবং আমি বারম্বার হর্ষিত হচ্ছি।’
উপর্যুক্ত শ্লোক সাকার স্বরূপের প্রতিপাদক। নীচে নিরাকার প্রতিপন্ন শ্লোক দেওয়া হচ্ছে।
সর্বভূতস্থিতং যো মাং ভজত্যেকত্বমান্বিতঃ । সর্বথা বর্তমানোহপি স যোগী ময়ি বর্ত্ততে ।। বহুনাং জন্মনামন্তে জ্ঞানবান্ মাং প্রপদ্যতে। ৰাসুদেবঃ সর্বমিতি স মহাত্মা সুদুর্লভঃ ।। (গীতা ৩/৩১ )
অব্যক্তোহক্ষর ইত্যুক্তস্তমাহুঃ পরমাং গতিম্। যং প্রাপ্য ন নিবর্ত্তন্তে তদ্ধাম পরমং মম। (গীতা ৮/২১)
ময়া ততমিদং সর্বং জগদব্যক্তমূর্ত্তিনা। মৎস্থানি সর্বভূতানি ন চাহং তেষুস্থিতঃ ।। ন চ মৎস্থানি ভূতানি পশ্য মে যোগমৈশ্বরম্ । ভূতভৃন্ন চ ভূতস্থো মমাত্মা ভূতভাবনঃ ।। (গীতা ৯।৪-৫।
ষে ত্বক্ষরমনিৰ্দ্দশ্যমব্যক্তং পৰ্য্যুপাসতে । সর্বত্রগমচিন্ত্যজ কুটস্থমচলং ধ্রুবম্ ।। সংনিয়ম্যেজিয়গ্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ । তে প্রাপ্নুৰন্তি মামেৰ সর্বভূতহিতে রতাঃ।।। গীতা ১২/৩-৪)
বহিরণ্ডশ্চ ভূতানামচরং চরমেব চ। সূক্ষ্মত্বাতদবিজ্ঞেয়ং দূরস্থং চান্তিকে চ তৎ ।। সমং সর্বেষু ভূতেষু তিষ্ঠন্ডং পরমেশ্বরম্ । বিনশ্যৎশ্ববিনশ্যন্তং ষঃ পশ্যতি স পশ্যতি ।। যদা ভূত পৃথস্তাবমেকন্বমনুপশ্যতি । তত এব চ বিস্তারং ব্রহ্ম সম্পদ্যতে তদা ।। (গীতা ১৩-১৫, ২৭, ৩০।
Questions and Answers on Gita Part 2
ভগবান বলেছেন – “যে পুরুষ একীভাবে স্থিত হয়ে সকলভূতে আত্মারূপে স্থিত সচ্চিদানন্দঘন বাসুদেবরুপে আমাকে ভজনা করে, সেই যোগী সর্বপ্রকারে নিযুক্ত থেকেও আমাতেই বর্তমান আছে, কেননা তার অনুভবে আমি ব্যতীত আর কিছুই নেই।
‘অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে তত্ত্বজ্ঞান প্রাপ্ত জ্ঞানী সর্বকিছুই বাসুদেব” এরূপে আমাকে ভজনা করেন, সেই মহাত্মা অতি দূর্লভ। যিনি অব্যক্ত ও অক্ষর বলে বর্ণিত হইয়াছেন, সেই অক্ষর নামক অব্যক্ত ভাবকে পরমগতি বলা হয় এবং সেই সনাতন অব্যক্তভাবকে প্রাপ্ত হয়ে মনুষ্য আর ফিরে আসে না, তাহাই আমার পরম ধাম।
সচ্চিদানন্দঘন পরমাত্মারূণ আমার দ্বারা এই জগৎ। বরফে জলের ন্যায়। পরিপূর্ণ রয়েছে এবং সকল ভূতসমূহ আমাতে সঙ্কল্পের আধারে স্থিত রয়েছে। এই নিমিত্ত প্রকৃত পক্ষে। আমি তাদের মধ্যে স্থিত নই এবং সেই ভূতগণ আমাতে স্থিত নহে। কিন্তু আমার যোগমায়া এবং প্রভাব দেখ, যে ভূতগণের ধারণ পোষনকারী ও ভূতগণের উৎপাদনকারী হয়েও আমার আত্মা বাস্তবপক্ষে ভূতগণে স্থিত নহে।
যে পুরুষগণ ইন্দিয়-সমুহকে উত্তমরূপে বশীভূত করে মন-বুদ্ধির অগোচর সর্বব্যাপী অকথনীয় স্বরূপ তথা সর্বদা একরূপে স্থিত নিত্য অচল, নিরাকার অবিনাশী সচ্চিদানন্দঘন ব্রহ্মকে নিরন্তর একীভাবে ধ্যান করিতে করিতে উপাসনা করেন, সকল ভুতের হিতে রত এবং সর্বত্র সমভবে বিশিষ্ট যোগিগণ আমাকে-ই প্রাপ্ত হন। (পরমাত্মা) চরাচর ।
Questions and Answers on Gita Part 2
স্থাবর জঙ্গম সমস্তভূতে অন্তরে বাহিরে পরিপূর্ণ বয়েছেন এবং চরাচর রূপেও তিনিই বয়েছেন, সুক্ষ্ম হওয়ায় তিনি অবিজ্ঞেয় তথা অতি সমীপে এবং অতি দূরেও তিনিই রয়েছেন। যে পুরুষ বিনাশশীল সকল চরাচর ভূতগণের মধ্যে নাশরহিত পরমেশ্বরকে সমভাবে স্থিত দেখে সেই যথার্থরূপে দেখে। যে কালে ভূতগণের পৃথক পৃথক ভাবকে এক পরমাত্মার সঙ্কল্পের আধারে স্থিত দেখে এবং সেই পরমাত্মার সঙ্কল্প হইতে-ই সমস্ত ভূতগণের বিস্তার দেখে সেই কালে সে সচ্চিদানন্দঘন ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়।
প্রশ্ন- গীতায় বলা হয়েছে যে শিষ্য না বানিয়ে জ্ঞানের উপদেশ করা উচিত নয়, তাহলে অর্জুন কি শিষ্য ছিলেন? তিনি কি পরমপদ প্রাপ্ত হয়েছিলেন?
উত্তর- গীতায় কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে, শিষ্য না বানিয়ে জ্ঞানের উপদেশ দেওয়া উচিত নয়। তথাপি অর্জুন নিজেকে ভগবানের শিষ্য বলে স্বীকারও করেছে শিষ্যন্তেহং শাধি মাং ত্বাং প্রপন্যম্ ( গীতা ২/৭। আমি আপনার শিষ্য, আপনার শরণাগত, আমায় শিক্ষা দিন এরূপ বলিয়া অর্জুন শিষ্যত্ব স্বীকার করেছে এবং ভগবান এর প্রতিবাদ না করে বিভিন্ন স্থানে অর্জুনকে নিজের মেনে নিয়ে প্রকান্তরে তাকে শিষ্য বলে স্বীকারও করেছেন। অর্জুন পরমপদ লাভ করেছিলেন, মহাভারতের স্বর্গারোহন পর্বের চতুর্থ অধ্যায়ে এর উল্লেখ রয়েছে।
প্রশ্ন- গীতা ভগবান কৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত বাণী না অন্য কেউ এর রচনা করেছেন?
উত্তর – গীতা ভগবানের শ্রীমুখ-নিঃসৃত বচনামৃত।
গীতায় শ্রীভগবানুবাচ বলে ভগবানের যে বচন বয়েছে তাঁর মধ্যে কিছুসংখ্যক শ্রুতি বাক্য শ্রুতি অনুয়ায়ী একই ভাবে পদ্যরুপে অর্জুনকে বলা হয়েছিল এবং অবশিষ্ট সংবাদ কথোপকথন রূপে হয়েছিল যা ভগবান ব্যাসদেব শ্লোকরুপে লিপিবদ্ধ করেছেন।
আপনিও আপনার প্রশ্ন আমাদের কাছে রাখতে পারেন। এখানে ক্লিক করে আপনার প্রশ্ন আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন।
আরও পড়ুন : – গীতা সম্বন্ধীয় প্রশ্নোত্তর পর্ব১
আমাদের এই সব সোসাল মিডিয়ায় GNews, Facebook, What’s App এবং Telegram – যুক্ত হয়ে থাকুন। Google Play Store এও আমাদের উপলব্ধ রয়েছে Bharatsastra App